সপ্তম দিনে নাম রাখা, মাথা মুণ্ডন করা ও আকিকা করা।
নাম রাখার বেলায় আমরা যা করি তা হলো, খুব সুন্দর নাম রাখি, ইসলামিক,অর্থবহ,কিন্তু ডাক নাম রাখি টিনকু, পিনকু চিনকু টাইপ। এবং সারাজীবন এই নাম ধরেই ডাকা হয়, আর ভাল নাম গুলো শুধু কাগজে কলমেই থেকে যায় , আমরা বেখবর যে একটা ভাল নাম রাখা ও সেই নামে সন্তান কে ডাকা এটা তার হক, প্রতি টা মানুষের উপর তার নামের মারাত্মক একটা প্রভাব পরে,আর এইজন্যই অসুন্দর অর্থের নাম গুলো নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদলে সুন্দর নাম রাখতেন।
তাই সন্তানের নাম রাখুন সুন্দর, অর্থবহ, যাতে করে নামের তাসির তার উপর পরলে সেটা ভাল কিছুই যেন হয়,আপনি যদি অর্থবহ নাম না রেখে থাকেন,তাহলে চাইলেই নাম বদলে দিতে পারেন, এর জন্য নতুন আকিকার দরকার নেই !
জন্মের পর সন্তানের সবচেয়ে বড় হক হলো মায়ের দুধ পান করা, মায়ের বুকের সাথে মিশে সে দুধ খাবে, মা তার আঙুল ধরে খেলা করবে, তাকে আদর করবে, সস্নেহে আঙুল দিয়ে চুল গুলো গুছিয়ে দিবে,পরম মমতার দৃষ্টি দিয়ে সন্তানকে দেখবে আর আল্লাহর শোকর আদায় করবে, কপাল দিয়ে বেয়ে পরা ঘাম মুছে দিবে,সন্তান যখন একটু বড় হবে তখন দুধ খাবে আর পা দিয়ে মায়ের থুত্নিতে লাথি দিবে,এক গোছা চুল ধরে রাখবে হাতের মুঠে,কানের দুল ধরে টানবে,নাহয় পা টা ঢুকিয়ে দিবে গলার চেইনের ভিতর,মা আদর করে বার বার সন্তানের হাত বা পা সরিয়ে দিবে, এভাবে দুধ খাওয়ার মাধ্যমে একটা গভির আত্মিক টান তৈরি হবে মা সন্তানের, সত্যি বলতে এই আত্মিক টান টা সন্তানের সাথে শুধু মাত্র মায়েরই হয়,আর কারো সাথেই না, আর এই টান সন্তান ৭০ বছরের বুড়া হলেও থাকে,আর মায়ের এই দুধ থেকে সন্তান যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহ আরো অনেক গুণাবলী নিয়ে থাকে সেটাও থেকে যায় তার বুড়ো কাল পর্যন্ত।
সন্তান কে তার এই হক থেকে কখনই বঞ্চিত করা উচিৎ না,অথচ এই জুগের মায়েরা সারাদিন অফিস আদালত করেন, ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আর সন্তান থাকে দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত,সন্তান থাকে কাজের মেয়ের কাছে,একবার বলুন তো,একজন কাজের মেয়েও না, খুব কাছের কেউই কি সন্তান কে পারবে মায়ের মত মমতা দিতে ??

Leave a Comment