সংবিধানঃ
১। ক) সর্ব শক্তিমান, মহান স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ্’র নামে,
খ) বাংলাদেশের সংবিধান, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা , ধর্ম  মন্ত্রনালয়ের নীতিমালা এবং সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে সংগঠনটি পরিচালিত হবে, যা সংগঠনের মূলনীতি হিসেবে লিখিত বা অলিখিতভাবে গৃহীত হবে।
গ) সংগঠন সম্পূর্ণরূপে অবাণিজ্যিক, অরাজনৈতিক এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করে, যে কোন প্রকার সন্ত্রাস বিশেষ করে ধর্মীয় জিহাদের নামে পরিচালিত সন্ত্রাস নির্মূলে কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখবে।

২। ক) কোরআ’ন ও  হাদিসের আলোকে, ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝ, মানা ও প্রচারের মাধ্যমে, ভুল ভাবে উপস্থাপিত ইসলামিক রীনি  নীতিকে চিহ্নিত করে সকল মুসলিমকে ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্যের দিকে আহ্বান করাই এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য।
খ) সকল প্রকার মিথ্যা মাবুদ কে অস্বীকারের মাধ্যমে সকল প্রকার শির্ক বর্জন করে,  এক আল্লাহ্ ‘তে বিশ্বাস ও নবী মুহম্মদ (সঃ) এর দেখানো পথ ও পদ্ধতিতে ইবাদত সম্পাদন কারার  আহ্বানের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্যে এ সংগঠনের উদ্ভব।

৩। সংগঠনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং সংবিধানের সাথে একমত পোষণকারী যেকোনো ব্যক্তি সংগঠনের পূর্বের সদস্যদের সম্মতিক্রমে এই সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

৪। এই সংগঠনের মাসিক চাঁদার পরিমান ৫০ টাকা, তবে যেকোনো সদস্য ৫০ বা তার অধিক পরিমান টাকা রাখতে পারবে। সংগঠনের চাঁদার পরিমান কায্যকরি কমিটির সিদ্ধান্ত মতে পরিবর্তন হতে পারে।

৫। এই সংগঠনে জমাকৃত সকল অর্থ দান বলে গণ্য হবে। কোন সদস্য কখনই অর্থ দাবি করতে পারবে না।

৭। যেহেতু মানব সসেবায় আমরা অলাভজনক সামাজিক সংগঠন এবং যেহেতু কোন সদস্যই সংগঠন  থেকে কোন বাড়তি সুবিদা ভোগ করে না, সেহেতু এই সংগঠনে সবার দায়িত্ব ও অধিকার সমান।  মাসিক  অনুদানের জন্য যাতে কোন সদস্যকে বলতে না হয়। সবাই  নিজ দায়িত্বে অনুদানের টাকা পরিশোধ করবে। তবে কারো ব্যক্তিগত  সমস্যা থাকলে সে অগ্রিম টাকা রাখতে পারবে, এবং অর্থ সম্পাদককে বলে পরে ও
দিতে পারবে।

৮। সংগঠন থেকে কেউ স্বেচ্ছায় চলে যেটে চাইলে তাকে কমিটির কাছে লিখিত আবেদন জানাতে হবে এবং সে কোন ধরনের দাবি করতে পারবে না।

৯। যদি কোন সদস্য সংবিধানের ৩ নং ধারার সাথে সাংঘষিক কোন কাজ করে এবং সংগঠনের পরিচালনা কমিটি যদি তাকে সংগঠনের যোগ্য মনে না করে তাহলে তাকে সংগঠন থেকে বাদ দিতে পারবে।

১০। সংগঠনের স্বচ্ছতা রক্ষায় এবং সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার জন্য অন্তত ‍২ মাস পর পর গঠনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও সংগঠনের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যর উপস্থিতিতে সাধারণ সভা হতে  পারে।

১১। সংগঠনের সকল ধরনের ব্যায়ের হিসাব বাউচারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এবং যেকোনো সদস্য  সংগঠনের আয় ব্যায়ের হিসাব দেখার অধিকার রাখে।

১২। ক) সংগঠনটি পরীক্ষামূলকভাবে তিনটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
খ) উপদেষ্ঠা কাউন্সিল এলাকা/পাড়া/মহল্লা/থানা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রয়াস নেবে।
গ) উপষ্টো কাউন্সিল আজীবন সদস্যরূপে বিবেচিত হবে।

১৩। ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ ১২জন দ্বারা গঠিত হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পর্ষদ সদস্যগণ অনধিক ৫ বছরের জন্য মনোনিত হবেন।

১৪। ক) কার্যনির্বাহী সঙ্গে মনে করবে যে, সমস্ত চয়ন শুরু হবে।
খ) উপদেষ্টা কাউন্সিল এর ৫০ ভাগ কার্যনির্বাহী পর্ষদের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত হবে।
গ) উপদেষ্টা কাউন্সিল কার্যত কোন কমিটি ভেঙ্গে দেয়া, কোন সদস্য বা কমিটিকে শাস্তি প্রদান করতে পারবেন না।
ঘ) উপদেষ্টা কাউন্সিল প্রস্তাবনা রাখতে পারবেন কিন্তু নির্দেশ প্রদানে অক্ষম হবেন।
ঙ) উপদেষ্টা কাউন্সিল কোন ভাবেই অর্থনৈতিক ব্যয় সংলাপে আসবেন না, তবে তারা মেয়াদান্তে অথবা সময়তর দাবিতে হিসাব বিবরণী চাইতে পারবেন।
চ) কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যগণের ২৫ভাগ উপদেষ্টা পরিষদ ৫০ ভাগ সদস্যসভা এবং ২৫ ভাগ কার্যনির্বাহী পরিষদ স্বয়ং নির্বাচিত করবে তবে এক্ষেত্রে যেকোন পদের সহঃ পদধারী নির্বাচনের বেলা কার্যনির্বাহী পরিষদ ক্ষমতা লাভ করবে। নতুন সদস্যসভা থেকে নির্বাচিত হবেন।
ছ) কার্যনির্বাহী পর্ষদে একই পরিবারের দুজন বা তার অধিক থাকতে পারবেন না।কার্যনির্বাহী পর্ষদের কোন সদস্য সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা হারালে তার পদ সরাসরি বিলপ্ত হবে।
জ) কার্যনির্বাহী সদস্যগণ সকল কাজের জন্য সদস্যসভার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন।
ঝ) বছরান্তে কার্যনির্বাহী সভা সংগঠনের আয়-ব্যয় বিবরণী প্রকাশ করবে।

১৫। ক) সদস্য সভার কোন ব্যক্তি কোন প্রকার লিঙ্গন, ধর্ম, বর্ণ, রাজনীতিক কিংবা অর্থনীতিক সামাজিকভাবে বিবেচিত হবেন না।
খ) সদস্য সভা নির্দিষ্ট নূন্যতমহারে চাঁদা প্রদান করবেন
গ) সদস্য সভা সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।
ঘ) সদস্যসভার কোন সদস্যের কোন ব্যক্তিগত সমস্যা সমাধানে সংগঠন জড়াবে না।

১৬। সংগঠনের সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে জয়েন্ট একাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।

১৭। হিসাব শাখা বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করবে।

১৮। সংগঠনের বর্ণবাদ বৈষম্যবাদ, ধর্মীয় ভেদাভেদ, লিঙ্গবৈষম্য এরূপ যেকোন কিছু চর্চা করা যাবে না।

১৯। ক) সকল সদস্য সভা সদস্য সংগঠন কর্তৃক বিনামূল্যে প্রচারিত নিবন্ধন ফরম আবেদনের ভিত্তিতে পূরণ পূর্বক সদস্যপদ লাভ করিবেন।
খ) সদস্য অভাব সদস্য নন এমন কেউ কার্যনির্বাহী পর্ষদে স্থান পাবেন না।
গ) কার্যনির্বাহী পর্ষদের কেউ মৃত্যুবরণ দায়িত্ব পালনে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি কেউবা বহিস্কৃত হলে সদস্য সভা হতে পদ পূরণ করা হবে।
ঘ) উপদেষ্টা পর্ষদ সদস্য অন্তর্ভূক্তি কার্যনির্বাহী পর্ষদ ব্যবস্থা করবে।

২০। ক) সংগঠনের কোন সদস্য একইসাথে দুটি পদ লাভ করবেন না।
খ) সদস্যগণ সংগঠনকে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন না।

২১। সংগঠন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সচেতনতামূলক সামাজিক সেবাসমূহ প্রদানের ব্যবস্থা করবে।

২২। সংগঠন যুগের চাহিদার এর আকার-লক্ষ্য সম্প্রসারণ করবে।

২৩। সংগঠন দরিদ্র, বেকার জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় সামাজিক বনায়ন কিংবা সমন্বিত মৎস্য চাষের মতো ভ্রাতৃত্বমূলক কর্মসূচী সমূহতে সভার মতামতের ভিত্তিতে সম্পৃক্ত হতে পারে।

২৪। সংগঠনের নীতিমালা সুপরিবর্তনীয়, ইহা মূল্য যা কমিটির দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকবে।

২৫। সংগঠন যেকোন পর্যায়ের যে কোন সদস্যকে শাস্তি প্রদানে উৎসাহ বোধ করবে না।

২৬। সংগঠন তার সকল পলিসি উন্মুক্ত ও সহজরূপে প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে।

২৭। নীতিমালা একটি ধারাবাহিক সংযোজন। এটির বর্ধন ও কর্তন স্বাভাবিক।

২৮। যদি কোন সদস্য ক্লাবের নীতি বহির্ভূত কোন কাজ করে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল বলে গণ্য হবে।