সন্তানের সাত বছর হলে তাকে নামাজের প্রতি খুব বেশি যত্নশীল করে তুলবেন,নামাজের নিয়ম কানুন ও দুয়া গুলো শিখাবেন। মায়া দেখিয়ে ফজরে ঘুম পাড়িয়ে রাখবেন না। আমার এখনো মনে পরে আমার এই বয়সে আমার বড় ভাই ওর বয়স তখন ১০/১১, নিজে উঠতো আমাকেও উঠাতো তাহাজ্জুদের সময়, এরপর সামনে দাঁড়িয়ে ইমামতি করতো, আর আমি ফাকিবাজ সিজদায় ঘুমিয়ে পরতাম!! তখন এই বিষয় টা আমার জন্য কষ্টকর ছিল,মাঝে মাঝে আম্মুকে বিচার ও দিতাম, কিন্তু ভাইয়া তো ভাইয়াই আমাকে পানি মেরে জাগাতো। এই কাহিনী ২০ বছর আগের, অথচ সেই শিক্ষাটা আমার ভিতর এখনো আছে, এবং আমার থেকে আমার সন্তান ও ছোট ভাই বোনদের ভিতর প্রসারিত হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
“নামাজ আমাকে পরতেই হবে” এই কথাটার শিকড় আসলে এই বয়সেই মজবুত হয়, যার ফল আজীবন পাওয়া যায়, তাই হাল ছাড়বেন না, আর এই শিকড় মজবুত করে দিতে না পারলে আপনি বুঝতেই পারছেন সন্তানের কত বড় হক নষ্ট করছেন!
দুঃখের বিষয় আমরা নিজেরাই নামাজের প্রতি খেয়ালি না, সন্তানের কি হক আদায় করবো??
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ” তোমাদের সন্তানদের সাত বছর হলে তাদের সালাতের নির্দেশ দাও, তাদের বয়স দশ বছর হলে তাদের প্রহার করো(সালাত না আদায় করার জন্য) এবং তাদের পরস্পরে বিছানা পৃথক করে দাও”
-(আবু দাউদ : ৪৯৫)
এই বয়সে সন্তান কে শিখানোর মত অনেক কিছু আছে, তার মাঝে সবচেয়ে জরুরি হলো তাকে পর্দা শিখাবেন, ছেলে হোক আর মেয়ে, কার কার সাথে পর্দা আছে আর কার কার সাথে পর্দা নাই তা শিখাবেন, আর সবার সাথেই গা ঘেসে বসা, কোলে বসা ইত্যাদি যে খুব পচা কাজ তা বুঝাবেন, ছেলে হোক বা মেয়ে কারো সাথেই যেন নির্জনে না যায়! তাকে ভাল খারাপ, হালাল হারাম, গুনাহের কাজ সওয়াবের কাজ ইত্যাদি শিক্ষা দিবেন, সমস্ত ভাল কাজের ব্যপারে যে হাদিস গুলো আছে তা শিখাবেন, আদব কায়েদার কিতাব পত্র কিনে দিবেন ও পড়তে দিবেন, পড়াও ধরবেন।

Leave a Comment