আমরা মুলত কি করি? স্কুলের বই এর ছড়া কবিতা বকে ঝকে মুখস্ত করাই, আর এইসব আদব কায়দা গুলো শুধু হুকুম করি, “আই এটা এভাবে করো,আই ডান হাতে খাও” আসলে হওয়ার কথা ছিলঃ “বাবা ডান হাতে খাও? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে বাম হাতে খায় ও পান করে শয়তান ও তার সাথে খায়, তুমি কি চাও তোমার সাথে শয়তান ও তোমার খাবার খাক? “
জি,ধৈর্য ধরে প্রতিটা আদব তাকে এভাবে শিক্ষা দিবেন, এবং তার সামনে অন্য কেউ আদবের খিলাফ করলে তাকে ইশারা দিবেন যেন তার ভুল সুন্দর করে ঠিক করে দেয়!
আরেক টা উত্তম আদব শিখানো তার হক যা থেকে মুলত আমরা তাকে বঞ্চিত করি অনেক আনন্দের সাথে ও আদর আহ্লাদ দিয়ে! আর তা হচ্ছে তাকে কোন কাজ করতে না দেওয়া! তার কাজ তাকেই করতে দিন, তার গোসল, তার বিছানা-কাথা, বই পত্র রুম, আলমারি, জুতা ইত্যাদি তার সব জিনিশ তাকে দিয়েই গুছান ও পরিষ্কার করান, তাকে শিখান পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্রতা ও পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে ভালবাসতেন।
তাকে শিখাবেন তার কোন কাজ যেন অন্য কারো জন্য রেখে না দেয়, নিজের প্লেট টাও যেন ধুয়ে রাখে।
তার এই আদব সারা টা জীবন তাকে শান্তি দিবে, সে নিজের কাজ নিজে করলে তার সাথে যত মানুষ থাকবে সবাই শান্তি পাবে, আর এই শিক্ষার অভাবে সে নিজে কষ্ট পায়, যখন এমন পরিবেশে যায় আর সেখানে তার কাজ করে দেওয়ার মত কেউ থাকে না। আপনার একটু আদর আহ্লাদ বা একটু খাটনি তার ভবিষ্যতের জন্য শান্তি বা অশান্তির কারন হতে পারে।
সন্তানের ১০ বছর পর্যন্ত আপনি একটা টার্গেট রাখবেন, যে ১০ বছরের মধ্যেই আপনি তাকে সমস্ত আদব শিখিয়ে শেষ করবেন, অর্থাৎ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যত কাজ করবে সে, সেই সব কাজের সুন্নতি আদব গুলো যেন তার সব শিখা হয়ে যায়, পাশাপাশি মা বাবা,ভাই বোন, পাড়াপড়শি, বন্ধু বান্ধব ইত্যাদি সবার সাথে কিভাবে মোয়ামেলা করবে কিভাবে আদব দেখাবে সেটাও যেন তার শিখা হয়ে যায় ও সে যেন পালন ও করে।

Leave a Comment