আপনি কি জানেন আপনার সন্তানের জন্য একজন দ্বীনদার মা/বাবা বেছে নেওয়া এটা আপনার সন্তানের ১ম হক !
আমরা অনেকেই এই হক টা আদায় করি না,বরং জানিই না যে এটা সন্তানেরও হক, একজন দ্বীনদার উত্তম অর্ধেক পেতে হলে নিজেকেও সে ভাবে গড়ে তুলতে হবে, একবার ভেবে দেখেন সন্তানের একটা হক আদায় করতে যেয়ে আপনার দ্বীনদারিতা,আপনার উত্তম অর্ধেকের দ্বীনদারিতা, একটা দ্বীনদার সংসার আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন !
বিয়ের সময় কারো আর্থিক অবস্থা,রূপ-সৌন্দর্য ইত্যাদি কে আগে প্রাধান্য না দিয়ে তার দ্বীনদারিতা কে দিন,কারন এই দ্বীনের বুঝ টা এমন একটা বুঝ যেটা সবাইকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়, সেই পথেই অটল রাখে !
আপনি সন্তান কে কেন জন্ম দেন জানেন ? দুনিয়াতে সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে নয়, তাকে আপনি জন্মই দেন যাতে সে জান্নাতে যেতে পারে !
আপনার ফিকিরে সব সময় সেটাই থাকতে হবে, আপনার সন্তান কোন রকম ভাবে জান্নাতে গেলেই হল এরকম যেন না হয়, বরং ভাল ভাবে যাবে,অনেক উঁচু মর্যাদা নিয়ে তারপর যাবে , সন্তান কে একটা দ্বীনি পরিবেশ দিতে হলে আপনাকে ও আপনার উত্তম অর্ধেক কে দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে !
দুনিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে এমন কাউকেই বেছে নিন, যার ভিতর থাকবে তাক্বওয়া, যে আল্লাহকে ভয় করে চলবে, যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ সব মেনে চলবে, হয়ত আপনাকে তিন বেলার জায়গায় দুই বেলা খাওয়াতে পারবে,কিন্তু ঠিকই আপনার এবং আপনার সন্তানের হাত ধরে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিবে, …
দুয়া করুন আল্লাহর কাছে যেন আপনার সন্তানের এই প্রথম হক টা আপনি আদায় করতে পারেন,এমন কাউকে যেন বেছে নিতে পারেন যে আপনার সন্তান কে জান্নাতের পথ চিনিয়ে দিবে !!
মনে রাখবেন, তাকে যদি দ্বীনের পথ না চেনাতে পারেন, এতে যদি আপনাদের মানে মা বাবার গাফলতি থাকে তাহলে আপনারা তার ১ম হক নষ্ট করলেন।
… চলবে …

Leave a Comment