৪ বছরের পর বাচ্চাদের কে দুয়ার শিক্ষাটা বাড়িয়ে দিতে হবে, এবার সকাল সন্ধার কম পক্ষে সহজ দেখে ২/৩ টা করে দুয়া শিখানো, আরবি হুরুফ পরিচিতি, সুরা ফতিহা সহ আমপারার ছোট সুরাহ গুলো মুখস্থ করানো, এইসব শিক্ষার পাশাপাশি এইসবের ফযিলত গুলোও শিখানো ও ঘন ঘন এইসবের ব্যপারে জিগেস করে বিষয় গুলো তার ঠোটস্থ করে দেওয়া। এবং তাকে এও শিক্ষা দিবেন সে যেন নিজে আমল করার পাশা পাশি তার ছোট ভাই বোন বা বন্ধু বান্ধব কেউ শিখায় ও তাগাদা দেয়, যে আমি শিখেছি তুমিও শিখো, আমি পড়েছি তুমিও পড়ো ইত্যাদি …।
এই বয়স গুলো আসলে খুব নাজুক, এই সময়ে সন্তানের সবচেয়ে বেশি দরকার হয় মায়ের সময়ের, মা যদি দ্বীনদার না হোন, বা দ্বীনের এইসব টুকটাক জ্ঞান না থাকে তখন আসলে সে মায়ের কাছে সন্তানের জন্য এই তরবিয়ত আশা করা দুঃখজনক।
সন্তানের পাচ/ছয় বছর বয়সে তাকে নামাজ, রোজা, সাদাগার সাথে পরিচয় করাবেন, অজু শিখাবেন, নামাজের প্রতি আগে উৎসাহিত করবেন, নামাজের ফজিলত শিখাবেন। সে খুব আগ্রহী হয়ে উঠবে, নামাজ আদায় করবে বাবার সাথে মাসজিদে যাবে, এরপর আস্তে আস্তে নামাজ তরক করার ভয়াবহতা শিখাবেন, রোজার ব্যপারেও একই কাজ করবেন। তবে কোনটার প্রতিই জোর করবেন না। এটা হচ্ছে তার নামাজ রোজার প্রতি শুধু মাত্র আগ্রহ ও মহব্বত তৈরি করা। সাদাগা করতে তাকে খুব বেশি উৎসাহিত করবেন। এতো বেশি করবেন যাতে সে বড় হয়ে যাওয়ার পরেও তার কাছে টাকা জমলেই যেন সাদাগা করার জন্য হাত নিশপিশ করে উঠে!! এই বয়সে তাকে ভাল মতই কোরআন হিফজো করতে লাগিয়ে দিবেন।
তার ভিতর সালামের প্রসারতা বাড়াবেন, পাড়া পরশী, রাস্তার ছোট বড়, ড্রাইভার কাজের মানুষ সবাইকেই যেন সে সালাম দেয়, ইজ্জত সন্মান দেয়,সবাই এক, সবাই সমান এই বিষয় টা অবশ্যই ভাল মত শিক্ষা দিবেন,কারন এই বয়সে স্কুলে যেয়ে বিভিন্ন ধরনের অর্থাৎ ধনী গরিব সাদা কালো বাচ্চাদের দেখে তাদের ভিতর বৈষম্য সৃষ্টি হয়।
তাকে কাল্পনিক গল্প অর্থাৎ রাজা রানির গল্প, অমুক তমুক ইত্যাদি এইসব গল্প না শুনিয়ে নবী রাসুলদের গল্প শুনাবেন, একদিন শুনাবেন, আরেকদিন তার থেকে একই গল্প শুনতে চাইবেন, কোরআনের যে সুরায় সে থাকবে সে সুরার শানে নুজুলে কোন গল্প থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করবেন।

Leave a Comment