(ক) ভাগ নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রথমে আমরা কাজের তালিকা তৈরি করবো,
এরপর আমরা কাজ গুলো কে ভাগ করে নিবো, আর কাজ গুলো ভাগ করবো বয়স হিসেবে। যেমন দেড় থেকে আড়াই বছর পর্যন্ত বাচ্চা কে সুন্দর কথা বলা শিখানো, কোন ভুল কাজ করলে ইন্নালিল্লাহ (বাচ্চাদের বুলি- মাথায় হাত দিয়ে ইন্নালিল্লাহ) শিখাবো (অর্থঃ আমরা তো আল্লাহরই), কোন ভাল কাজ করলে মা শা আল্লাহ বলা, ডান হাতে খাওয়া, ডান হাতে কিছু নেওয়া বা দেওয়া, আগে ডান পায়ে জুতা পরা, কাপড় পরানোর সময় ডান দিক থেকে পরানো, কাউকে ঠুস ঠাস থাপ্পড় বসালে আসিফ বা সরি বলা শিখানো এবং সাথে আদর করে দেওয়া শিখানো, কারো সামনে কাপড় খুলে ফেলা লজ্জাজনক বা আয়েব এটা বুঝানো ইত্যাদি তার বুঝ অনুযায়ী তাকে সব কাজ সুন্নত তরিকায় শিখানো।
তারপর আড়াই থেকে তিন বা চার বছরের বাচ্চাদের কে আস্তে আস্তে আল্লাহর নাম শিখানো, কিছু লাগলে আল্লাহর কাছে চাওয়া শিখানো, কোন ভুল কাজ করলে তাকে বলা যে আল্লাহ রাগ হবেন, ভাল কাজ গুলো করলে বলা যে আল্লাহ খুশি হবেন, অর্থাৎ তাকে আল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। তাকে আরবি হুরুফ শিখানো, তার সুন্নত তরিকায় কাজ গুলোর শিক্ষা আরো বাড়িয়ে দেওয়া, যেমন ওয়াশরুমে ঢুকা ও সেখান থেকে বের হওয়ার আদব আর সাথে দুয়া গুলো শিখানো, ঘুমের আগে পরের আদব ও দুয়া শিখানো, খাওয়ার আগে পরের আদব ও দুয়া শিখানো, অর্থাৎ চলা ফেরা ঘুম খাওয়া উঠা বসা ইত্যাদি সকল বিষয়ের আদব ও সহজ দুয়া গুলো শিখানো ও প্রতিবার তাকে মনে করিয়ে দিয়ে দুয়া গুলা পড়ানো, এইসব আদবের পাশা পাশি বড় দের সাথে কথা বার্তা বলা ও ছোট দের প্রতি স্নেহপরায়ণ হওয়া, সালাম আদান প্রদানের অভ্যাস করানো ইত্যাদি শিখানো।

Leave a Comment